Saturday 15 October 2005

হিসেবের ভুল

হিসেবের ভুল

ওরে বাবা এ ঘরে
কে ঘুমোয় বেঘোরে?
কে গো রে,  কে গো রে?

কে আবার ব্যাটা চোর,
গায়ে ভরা ক্যাট-আঁচড়,
বেড়ালের ধমকে,
ছেড়ে গ্যাছে দম ওকে।

ওড়ে ব্যাটা বোকা চোর,
একবার খালি চা'
পুরেছিলি থলেতে
বিড়াল না গালিচা?



সহজ বিচার

সহজ বিচার

কারা নাকি পা হারালো
তারি খোঁজে পাহাড় আলো
করে ফ্যালে সকলে,
সারারাত কেটে যায় ধকলে।

আমি বলি, এতো সোজা
শুধু শুধু কেন খোঁজা?
কেন গড়িমসি?
কে ছিল পাহারায়?
দিয়ে দে আহা রায়?
সেই ব্যাটা দোষী।

খেয়ালী

খেয়ালী

হয়ো না গো কাঠ এতে
যদি দ্যাখো মাঠেতে
নবনীতা সেন জি
পরে নীল গেঞ্জি
হাতে নিয়ে পিয়ানো
বলে বাপু ঘি আনো
আন ভাজি, সাতকরা
ভেলপুরি, সাজনা
হবে বাজিমাত করা
ভয়ানক বাজনা।

বীণা রায়

বীণা রায়

নদী কিনারায়
মিস বীণা রায়
কেন যে দাঁড়ায়
আমি কি তা জানি?

শুধু দেখি তার
নীল শাড়ি পাড়
আকাশে ভাসায়,
আমাকে শাসায়।

পাশে ইদারায়
বসে কেদারায়
যুবকটা কেন
দ্যায় হাতছানি?

নদী কিনারায়
মিস বীণা রায়
কেন যে দাঁড়ায়
আমি কি তা জানি?

বদরাগী

বদরাগী

হামবড়া লোকটা যে
ভারী খিটিমিটি

ঘাম ভরা হাতে তার
খাম ভরা চিঠি।

মারকুটে সে লোকের
চিরকুট পেলে

রেগেমেগে বধূ তার
খড়কুটো গেলে।

সেলুনে তুলকালাম

সেলুনে তুলকালাম

নাপিত ব্যাটার বাসায় গিয়ে
দিলাম তাকে ঝাড়ি,

'চুলের উপর হাত দিবি না
কাটবি শুধু দাড়ি।
নইলে খাবি ঘুসি,
আমি আবার মাথায় আমার\
অনেক উকুন পুষি'

বসিয়ে রেখে ঘণ্টা দেড়েক
মাথায় মেরে লোহার পেরেক,
বললো হেসে নাপিত ব্যাটা,
'কি ভাই, এখন খুশী?'

ধূমকেতু

ধূমকেতু

ঘটনায় ঘোট নাই
সাধারণ তুচ্ছ,
ধূমকেতু এলো এক
নেড়ে তার পুচ্ছ।

তাই দেখে রেগে বলে
তারকার গুচ্ছ,
এত রাতে একে একা
কাকে তুমি খুঁজছো?

ধূমকেতু হেসে বলে,
'পৃথিবীর কাছ্‌
হৃদয়ের কিছু কথা,
বলিবার আছে।

সাত আট যুগ তাই
পর পর আমি,
পৃথিবীর কাছে এসে
কিছুদিন থামি'

সব শুনে হতবাক
চাঁদ তারা সূর্য
চঞ্চলা ধূমকেতু
তারো এত ধৈর্য?

প্রবাসী

প্রবাসী

কেউ কেউ বিমানে
কাগজের রীম আনে
কেউ আনে শুটকির কৌটা।

কারো কারো লাগেজে
পান আনা লাগেজে
কেউ আনে বিয়ে করা বউটা।

দুলালের পরামর্শ

দুলালের পরামর্শ

বলেছিল দুলালে,
ভাগ্যেতে কুলালে
খেতে পারো শরবত
নদী আর পর্বত
আধাআধি গুলালে,

বলেছিল দুলালে।

ঈদের বাজার

ঈদের বাজার

এমন কি রাত
তখন বাজে মাত্র সাড়ে আটটা,

ঈদের বাজার
চতুর্দিকে ভীষণ ভিড়ের ভাট্টা

এমন সময়
পেছন থেকে মারলো কে যে গাট্টা

ব্যাপারটা কি হুমকিমূলক?
কিম্বা নিছক ঠাট্টা?

আজব কারুকাজ

আজব কারুকাজ

দেয়ালে দেখেছি মুরাল
হাতীটা দিচ্ছে উড়াল
সাঁঝ আসমানে আর
রাজহাঁস মানে হার
তাহারই
বাহারি
পাখার ঝাপটে
আঁকা আছে তা পটে।

জলসা

জলসা

ইঁদুরের মিউজিক আর বাঁশি
বিড়ালের মিউ, চিকার হাসি

এই নিয়ে ভরপুর সংগীত আসরে
কবুতর জ্ঞান গায়, সিলিং-এ হাঁস ওড়ে।

ছদ্মবেশী প্রাণীকুল

ছদ্মবেশী প্রাণীকুল

সারা রাত ধরে আমি 
যত ধরি চিকা
ভোরবেলা উঠে দেখি
সে তো মরীচিকা।

পেঙ্গুইন টিকটিকি আর তেলাপোকা
চিকার মুখোশ পরে দিয়েছিল ধোঁকা।

লোকটা

লোকটা

লোকটা নাকি প্রতিভাবান
সবাইকে তার প্রতি ভাবান।

ভাবতে আর কি বাধ্য করেন
এমন জাব্বা-জোব্বা পরেন।

লোকটা নাকি ফিদা হুসেন
লোকটা নাকি পিকাসো,
দেখা হলেই জিগেস করি
পাগল নাকি ঠিক আছ?

বিড়ালের রেস্টুরেন্ট

বিড়ালের রেস্টুরেন্ট

বিড়ালের রেস্টুরেন্টে
ইঁদুর মেলে পনেরো সেন্টে

তার থেকে নিয়ে কিছু ধার
চলে যায় চামচিকের সংসার

উল্টোপাল্টা

উল্টোপাল্টা

গাছের উপর চিচিংগারা
খাচ্ছে বসে ঘি সিঙ্গারা
কেমন আজব কারবার।

আবার দ্যাখো ছ্যাঙ্গা-মাকড়
ছড়িয়ে দিয়ে শিকড়-বাকড়
গিলছে মাটি বারবার।

পৃথিবীতে এই ঘটনা
শোনায় যত ঠিক তত না
ঘটলো তবু চারবার।

জীবজন্তুর দুরবস্থাঃ দুই

জীবজন্তুর দুরবস্থাঃ দুই

কত যে হরিণে
রয়ে গ্যালো গো-ঋণে
তেনাদের কথা বলে লাভ নাই।

হাড় ভেঙ্গে শেয়ালে
আজো আছে কী হালে
প্রতিদিন বাড়ে তার ভাবনাই।

সবচেয়ে দুর্দিনে
সারা দেশে গরিলা
জেলে বসে কেঁদে বলে
'কার আদেশে ধরিলা?'




জীবজন্তুর দুরবস্থাঃ এক

জীবজন্তুর দুরবস্থাঃ দুই

বিড়ালের কুড়ালের মোক্ষম ঘায়ে
সিঁদুরের দাগ পড়ে ইঁদুরের গায়ে

জিরাফের সিরাপের মিক্সচার  গিলে
খ্যাক খ্যাক করে হাঁসে সাদা গাংচিলে

কুকুরের মুগুরের এত বেশী ভার
শেয়ালের চোয়ালে জাগে ফ্র্যাক্‌চার

ইলিশের নালিশের পরিপ্রেক্ষিত
কাচকির হেঁচকির গণসংগীত

এতসব দেখে শুনে ভালুক সাহেব
বর্ডার ক্রস করে হলে গায়েব

গঞ্জিকা-রহস্য

গঞ্জিকা-রহস্য

পথে যেতে যেতে
যার রঙ ফিরোজা কালার
সেই ফিরোজা খালার
ছোট মেয়ে ইরিনা
বলেছিল বিড়ি না
খেতে।
শুধু কি তাই?
পঞ্জিকা বারো মাস মেঝো খালা অঞ্জনা
গঞ্জিকা কেন খাস বলে করে গঞ্জনা।
তারপরও আমি
আর বড় মামী,
গাঁজা টানি, বিড়ি খাই,
কেন টানি, কেন খাই?
বলি তাই,
ও পাড়ার অপরূপা অপ্সরী গিরিবালা দেবী,
তার নাকি ভালো লাগে বিড়িগাঁজাসেবী।